Native News

Friday, June 13, 2025

ইরানের পাল্টা আঘাত – ইসরায়েলের দুই যুদ্ধবিমান ভূপাতিত, নারী পাইলট আটক

ইরানের পাল্টা আঘাত – ইসরায়েলের দুই যুদ্ধবিমান ভূপাতিত, নারী পাইলট আটক

 


আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ১৪ জুন ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নতুন মোড় নিচ্ছে। ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলের দুইটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা মেহের। এর একটি বিমানের নারী পাইলটকেও আটক করার তথ্য জানিয়েছে আরেক সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজ

✈️ নারী পাইলট আটক, ইসরায়েল অস্বীকার

তাসনিম-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়—

“ভূপাতিত দুটি বিমানের মধ্যে একটি থেকে পাইলট জীবিত উদ্ধার করে আটক করা হয়েছে, যিনি নারী।”

তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, “বিমানের ভূপাতনের তথ্য ভিত্তিহীন ও শত্রুপক্ষের প্রপাগান্ডা।”

🔥 ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ – ইরানে ইসরায়েলি হামলা

এর আগে শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে ইসরায়েল বড় পরিসরে ইরানে হামলা চালায়। লক্ষ্যবস্তু ছিল—

  • পরমাণু স্থাপনা

  • ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুতকারক কারখানা

  • সামরিক কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র

এই হামলার পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় ইরান। মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়ে নতুন উত্তেজনা।

🧠 গুপ্তচর ঘাঁটি থেকে হামলা – মোসাদের সম্পৃক্ততা

টাইমস অফ ইসরায়েলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির নিরাপত্তা সংস্থার এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন—

“মোসাদ এজেন্টরা তেহরানে একটি গুপ্তচর ঘাঁটি স্থাপন করে, যেখান থেকে কম্যান্ডো এবং ড্রোন চালানো হয়। সেই ঘাঁটি থেকেই ভূমিভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারগুলোতে হামলা চালানো হয়।”

এই অভিযানের ফলে ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আংশিকভাবে ধ্বংস হয়, এবং তারা তাৎক্ষণিক পাল্টা জবাব দিতে সাময়িকভাবে ব্যর্থ হয়।

☠️ প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি

ইরান জানায়, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত—

  • নিহত হয়েছেন ৭৮ জন

  • আহত হয়েছেন ৩২৯ জনের বেশি

রেভল্যুশনারি গার্ডের এক মুখপাত্র বলেন,

“প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা এর চেয়েও অনেক বেশি।”

🌍 আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

এই সংঘর্ষের পর সৌদি আরব, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

 ইরান ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা - মাটির নিচে আশ্রয় নিলেন নেতানিয়াহু

ইরান ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা - মাটির নিচে আশ্রয় নিলেন নেতানিয়াহু

 


ঢাকা, ১৪ জুন ২০২৫ | স্টাফ রিপোর্টার

ইরানের পক্ষ থেকে আবারো ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে ইসরাইলের উপর, যার মধ্যেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গোপন বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন—এছাড়াও নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ নেতারা এবং উচ্চপদস্থ মন্ত্রীরা ঐবুঝি সুরক্ষা গ্রহণ করেছেন

🛡️ নেতানিয়াহু বাঙ্কারে, রাতভর পরামর্শ সভা

সিএনএন জানিয়েছে—ইরানের পরবর্তী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরুর মাত্রই বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একটি ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে, নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে অবস্থান নেন । সেখানে তারা রাত জুড়েই বিভিন্ন সেক্টরের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।

🎯 আইডিএফ হতাহতের ঘোষণা – আহত ৬৩

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়—নতুন হামলায় এমনপর্যন্ত ৬৩ জন আহত হয়েছেন। অপরদিকে, প্রথম দফায় ইরানের তেহরান ও তেল আবিব–জেরুজালেমের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ১০০ ড্রোন ছোড়া হয়েছিল ইরানের পক্ষ থেকে

🔁 সক্ষম প্রতিরোধ – “অপারেশন লাইনিং”

ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা “আইরন ডোম”–এর মাধ্যমে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে

🗣️ নেতানিয়াহু ও ডিফেন্স মন্ত্রীর বার্তা

প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সফট টোনে বলেন—

“ইরানের হামলা আমাদের কমজোর করে নি, বরং আমরা আরো দৃঢ় হয়ে প্রতিরোধ করছি। রাতভর নিরাপত্তা আলোচনা চলেছে।”

আইডিএফ মুখপাত্র এফি ডেফ্রিন বলেন—

“আজ আরও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আশঙ্কা রয়েছে, সাধারণ জনগণ আশ্রয়কেন্দ্রের নিকটেই অবস্থান করুক।”

⚖️ নতুন দফা উত্তেজনা ও নিহতের তথ্য

ইরানের প্রতিক্রিয়া হিসেবে অপারেশন ‘True Promise III’–এর আওতায় ১৩ জুন রাতে ১৫০+ ক্ষেপণাস্ত্র ও ১০০+ ড্রোন ইসরাইলের টেল আবিব ও জেরুজালেমের বেশ কিছু স্থানে ছোড়া হয়  ইরানের দাবি—তার হাতিয়ারের লক্ষ্যে জানু হাওয়াবাহিনী ও মসাদ সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে

নিজেদের আক্ষেপ উড়িয়ে ইরান বলেছে—

“আমাদের প্রতিশোধ এখন শুরু হয়েছে। যারা আমাদের কমান্ডার, বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে, তাদের মূল্য দিতে হবে।”

🕊️ আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি

  • সিরিয়াল হামলা—ইনজুরি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে; ইসরাইল সরকার জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে।

  • যুক্তরাষ্ট্র ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সমর্থন করছে—'air-defense assistance' দিয়েছে

  • জাতিসংঘ, ইউরোপ ও টুরস্কসহ অনেক দেশ দাবি জানাচ্ছে—“দায়িত্বশীল আচরণ, শান্তি রক্ষা করতে হবে”; দমনের আহ্বান জানাচ্ছে

সম্প্রতি বিশ্ব বাজারে তেল ও স্বর্ণের দাম উন্নতি দেখেছে; আশঙ্কা তৈরি হয়েছে—এ পরিস্থিতি একটি বড় জোয়ারে পরিণত হতে পারে

লন্ডন থেকে দেশে ফেরলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

লন্ডন থেকে দেশে ফেরলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

 

ঢাকা, ১৩ জুন ২০২৫ | স্টাফ রিপোর্টার

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের সরকারি সফর শেষে লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে ১৩ জুন সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে দেশে ফিরছেন। তাঁর সাথে রয়েছেন উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সহ অন্যান্য সফরসঙ্গীরা, যারা একই সময়ে ফ্লাইটে উঠে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন


📌 সফরের সূচনা ও উদ্দেশ্য

  • ৯ জুন (সোমবার) সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে ঊড়ান করে যুক্তরাজ্যে পৌঁছান প্রবাসী প্রধান উপদেষ্টা

  • ১০ জুন (মঙ্গলবার) স্থানীয় সময় সকাল ৭:০৫ মিনিটে তিনি হিথরো বিমানবন্দরে অবতরণ করেন

  • সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল:

    • বাংলাদেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কিত বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মজবুত করা

    • পাচার হওয়া অর্থ ও বিদেশে লুণ্ঠিত সম্পদের পুনরুদ্ধারে সহযোগিতা আদায়

    • কমনওয়েলথ, বাণিজ্য, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, সমুদ্রবিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ও আলোচনায় অংশগ্রহণ করা।


🤝 প্রধান বৈঠক ও ইভেন্টগুলো

  1. কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আয়রকর বচওয়ের সঙ্গে বৈঠক—জাতীয় নির্বাচন ও রাজনৈতিক সংস্কারে যুক্তরাজ্যের আগ্রহ প্রকাশ

    1. এয়ারবাস বিদ্যুৎপ্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াউটার ভ্যান ওয়ার্শের সাথে আলোচনা—বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের লাভজনকতা ও অংশীদারিত্ব নিয়ে বিষয়টোন হয়।

    1. পার্লামেন্টারি গ্রুপের সাথে সংলাপ—উষ্মেয়ন ও কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে সাংসদদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়।

    1. ব্রিটিশ বাণিজ্য ও ব্যবসায়মন্ত্রী জনাথন রেনল্ডসের সঙ্গে বৈঠক—বৃটিশ ব্যবসায়ব্যবস্থায় বাংলাদেশের সম্ভাবনা আলোচনা।

    1. জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জনাথন পাওয়েলের সঙ্গে একান্ত বৈঠক—বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে।

    1. চ্যাথাম হাউসে ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলাপচারিতা’—সামাজিক ব্যবসা ও উন্নয়ন বিষয়ে বক্তৃতা
    1. কিং চার্লস তৃতীয় হারমনি অ্যাওয়ার্ড—১২ জুন সেন্ট জেমস প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তাঁর হাতে দান করেছেন, যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে গণ্য

    • রাজা ও কোয়েন কামিলার সঙ্গে একান্ত বৈঠক ও আলাপচারিতায় বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রম তুলে আনা হয়

  2. হাউস অব কমন্স স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোয়েলের সঙ্গে বৈঠক—বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ে আলোচনা।

  3. জরিপ ও সমুদ্রবিজ্ঞান জাহাজ HMS Enterprise সম্পর্কে ব্রিফিং—বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সম্ভাব্য সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্রিটিশ সহযোগিতা দেখা।

  4. বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইন্টারেক্টিভ অধিবেশন—বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের সাথে সরাসরি মতবিনিময়।

  5. লন্ডনে তারেক রহমান–মুহাম্মদ ইউনূস অফিস-ওয়ান বৈঠক—সংসদ ও গণহত্যা বিচার বিষয়ে অগ্রগতির প্রেক্ষিতে রমজান আগেই নির্বাচন সংক্রান্ত যৌথ সিদ্ধান্তে পৌঁছন।


🌍 সফরের গুরুত্ব ও সম্ভাব্য প্রভাব

  • আর্থিক স্বচ্ছতা ও পুনরুদ্ধার: পাচার অর্থে আইনগত সহযোগিতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।

  • আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা: ব্রিটিশ রাজা কর্তৃক সম্মাননা বাংলাদেশের অবস্থানকে বিশ্বদলে দৃঢ় করে।

  • রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা: তারেক রহমানের সাথে অর্থনৈতিক ও নির্বাচন সংক্রান্ত প্রাথমিক সমঝোতা তৈরি হতে পারে।

  • দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধি: ব্যবসা, প্রতিরক্ষা, ও নিরাপত্তা খাতে বাংলাদেশের জন্য ব্রিটিশ প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো সম্ভব।

রোযার আগের সপ্তাহে নির্বাচন : মির্জা ফখরুল

রোযার আগের সপ্তাহে নির্বাচন : মির্জা ফখরুল

 


ঢাকা, ১৩ জুন ২০২৫ | স্টাফ রিপার্টার

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) লন্ডনের ডোরচেস্টার হোটেলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান–এর বৈঠকটিকে সত্যিকার অর্থেই "টার্নিং পয়েন্ট" হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠক শেষে তারা একটি যৌথ ঘোষণা দেন, যেখানে আগামী জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি অনুষ্ঠিত হবে, জানিয়ে বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক আশা জেগেছে

🕒 বৈঠকের সময় ও সূচনা

বিকাল ২টায় (বাংলাদেশ সময়) শুরু হওয়া ঐতিহাসিক বৈঠকটি প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা চলে। প্রচ্ছন্ন আলোচনা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ মনোভাব বিনিময় করে নেতৃত্ব দুই পক্ষ এক যৌথ সার্বভৌম Vision গড়ে তোলেন

🗣️ এ কী টার্নিং পয়েন্ট? অন্তরঙ্গ মত বিনিময়

মির্জা ফখরুল বলেন,

“আজকের বৈঠক সত্যিই একটি turning point. যারা বলছিলেন নেতারা এক হওয়ার পথে না, তারা আজ মানতে বাধ্য।” 

তিনি আরো জানান, নির্বাচনী তারিখ নিয়ে ফাঁক-ফোকর দূর করতে ‘উভয়পক্ষের ঐক্যমত’ এসেছে—যেখানে উল্লেখযোগ্য সময় সূচি পরিবর্তন করে ফেব্রুয়ারি ২০২৬–কে মেনে নেয়া হয়েছে।

নির্বাচনের সময়সূচি: ফেব্রুয়ারির আলো

বৈঠকে নির্ধারিত হয়েছে, ঐ আগে ঘোষিত ‘এপ্রিল নির্বাচন’–এর সময় উপযুক্ত নয়। তারেক রহমানের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, “পরবীছের প্রথম সপ্তাহে, রমজানের আগে এ নির্বাচন করা যাক।”

🤝 দুই নেতার আন্তরিক সৌহার্দ্য

ফখরুল বলেন,

“বৈঠকটি খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ফলপ্রসু। ইউনিয়নে জাতির প্রত্যাশা পূরণে দুই নেতা একত্রে কাজ করবেন।”

তাছাড়া তিনি জানান, তারেক রহমান বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে স্মারক বই ও লেখার কলম উপহার দেন; এটা ছিল এক মেধা-ভিত্তিক কূটনৈতিক ‍শিষ্টাচার–এর নিদর্শন

📈 রাজনৈতিক অস্থিরতা ঘুচবে—ফখরুলের আশাবাদ

মির্জা ফখরুল আশা ভরে বলেন,

“এই লন্ডন বৈঠক uncertainty দূর করে দিয়েছে, সৃষ্টি হয়েছে নতুন political momentum।” 

তিনি যোগ করেন, “এখন সময়, বাদ দিয়ে দিয়ে পুরনো ভুল ভুলে যাওয়া—রমজানের আগে সমগ্র জনগণকে নিয়ে এগিয়ে চলা।”

যৌথ ঘোষণা: নির্বাচনে ঐক্যমতের সময়

বৈঠকের পর প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ রয়েছে—‘যদি সব প্রস্তুতি নির্দিষ্ট সময়ে সম্পন্ন হয়, তবে জাতীয় নির্বাচন রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহে (ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে) হতে পারে।’

🔍 এক ‘নতুন রাজনৈতিক দৃষ্টান্ত’

ফখরুল বলেন,

“তারেক রহমান আমাদের শ্রেষ্ঠ statesman হিসেবে প্রমাণ দিয়েছেন—যখন প্রয়োজন, সেকেলে কারচুপির পাশেও এগিয়ে এসে দেশের জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত।” 

তিনি যোগ করেন, “অনেক কিছু ভুলে, এখন দেশকে rebuild করার সময় এসেছে। এটা মানুষের প্রত্যাশা।”

🏛️ বর্তমান প্রেক্ষাপট ও ফলপ্রসু প্রভাব

  • এ বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আশার ঢেউ, যাতে আগামী নির্বাচন সম্পর্কে সুস্পষ্টতা এসেছে।

  • এই সময়সীমা ঘোষণার পর, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার আশা জেগেছে।

🔮 পরবর্তী পদক্ষেপ

ফখরুল বলেন,

“এখন নির্বাচন প্রসঙ্গে পুরো জাতীয় প্রস্তুতি শুরু করা বাঞ্চনীয়—সেই সময় অনুযায়ী।”

আমিও ধারণা করি—আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচনী মাঠে সক্রিয়তা বসবে, প্রতিটি রাজনৈতিক দল দুর্নীতিহীন ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করবে।

Friday, May 30, 2025

বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে জাপান

বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে জাপান

 


প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, মোট অর্থের মধ্যে অর্থনৈতিক সংস্কার ও জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার জন্য উন্নয়ন নীতি ঋণ হিসেবে ৪১৮ মিলিয়ন ডলার দেবে জাপান। এছাড়া জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী রেল সংযোগকে ডুয়েলগেজ ডাবল রেলপথে উন্নীত করতে টোকিও ৬৪১ মিলিয়ন ডলার এবং স্কলারশিপ বাবদ ৪ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার দেবে।

প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী এবং ঢাকায় নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত শিনিচি সাইদা।

সংস্কার কার্যক্রমে পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত জাপানের

গতকাল সকালে টোকিওতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে করেন প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরু। এ সময় তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের জাতি গঠন, সংস্কার উদ্যোগ এবং শান্তিপূর্ণ উত্তরণের প্রচেষ্টায় তার দেশের পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

স্বাধীনতার পর থেকে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করে উভয় পক্ষই দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারত্বের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। উভয় দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব সবার জন্য শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক (এফওআইপি) অঞ্চলের জন্য তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময়ের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

তারা আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন এবং জাতিসংঘ সনদের নীতিমালা সমুন্নত রেখে এই অঞ্চল এবং তার বাইরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। আইনের শাসন এবং গণতন্ত্রের ওপর ভিত্তি করে বহুপাক্ষিকতার প্রতি সমর্থনের আশ্বাসও দেন তারা।

জাপান-বাংলাদেশ যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে তারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে খোলামেলা ও বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দেওয়ার এবং তাদের জন্য অব্যাহত মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। অধ্যাপক ইউনূস ভাসান চরসহ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের জন্য জাপানের মানবিক সহায়তার প্রশংসা করেন। এ বিষয়ে জাপান তার টেকসই প্রচেষ্টা পুনর্ব্যক্ত করেন।

উভয় পক্ষের অভিমত, বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের মিয়ানমারে একটি টেকসই, নিরাপদ, স্বেচ্ছাসেবী এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন হলো এই সংকটের চূড়ান্ত সমাধান। সংকট সমাধানে সংশ্লিষ্ট সব অংশীদারের মধ্যে আন্তরিক সংলাপের গুরুত্বও স্বীকার করা হয়।

উষ্ণ অভ্যর্থনা ও আতিথেয়তার জন্য ইশিবা শিগেরু এবং জাপানের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান তিনি।

বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছানোর পর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

নতুন বাংলাদেশ গড়তে জাপানের সর্বাত্মক সহায়তা

গতকাল টোকিওর জেট্রো সদর দপ্তরে জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এবং জাইকা যৌথভাবে ‘বাংলাদেশ বিজনেস সেমিনারের’ আয়োজন করে। এতে প্রধান উপদেষ্টা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জাপানের সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি বলেন, আমি এখানে এসেছি আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করতে। আমরা বড় বিপদের মধ্যে আছি। আক্ষরিক অর্থেই বাংলাদেশ ১৬ বছরের একটি ভূমিকম্প পার করেছে। সবকিছু ভেঙে পড়েছে। আমরা এখন টুকরো টুকরো করে গুছিয়ে তোলার চেষ্টা করছি।

জাপানকে বাংলাদেশের বন্ধু আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা একটি ঐতিহাসিক চ্যালেঞ্জ। আমরা ইতিহাসকে দেখাতে চাই যে, এটি সম্ভব হয়েছে, তা-ও নিখুঁতভাবে। অন্য একটি বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপন করুন, যাকে আমরা নতুন বাংলাদেশ বলি। তাই আমাদের কাজ হচ্ছে একসঙ্গে সেই নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করা। আপনাদের সহযোগিতায় এটি বাস্তবায়নযোগ্য এবং আমরা ইতোমধ্যে তার ভিত্তি স্থাপন করেছি।

মাতারবাড়ী উন্নয়নে সহায়তা করায় জাপানকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ আরো বহু মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষের জন্য দরজার মতো যেমন নেপাল, ভুটান ও ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্ব রাজ্যের মানুষ সমুদ্রের পথ পেতে পারে বাংলাদেশ হয়ে। মাতারবাড়ী হচ্ছে বাকি বিশ্বের জন্য দরজা। আমরা তাদের জন্য এই দরজা খোলা রাখব।

জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পবিষয়ক পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার তাকেউচি শিনজি বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখতে চায় জাপান সরকার। তার সরকার দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে বাংলাদেশে, জাপানি কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগে উৎসাহ দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ ও জাপান ছয়টি সমঝোতা স্মারক সই

গতকাল বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে অর্থনৈতিক, বিনিয়োগ ও অন্যান্য সহযোগিতা সংক্রান্ত ছয়টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। টোকিওতে ‘বাংলাদেশ বিজনেস সেমিনারের’ ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে এসব সমঝোতা স্মারক সই হয়।

প্রথম সমঝোতা স্মারকটি জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জেবিআইসি) এবং বাংলাদেশের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে। এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে জেবিআইসি জ্বালানি খাতে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরো জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দ্বিতীয় সমঝোতা স্মারকটি ছিল অনোডা ইনক ও বাংলাদেশ এসইজেড লিমিটেডের (বিএসইজেড) মধ্যে, এর আওতায় অর্থনৈতিক অঞ্চলে একটি জমি লিজ সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছে। অনোডা ইতোমধ্যে জাইকার উদ্যোগে একটি গ্যাস মিটার স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে এবং এখন সেখানে গ্যাস মিটারের অ্যাসেম্বলি ও রক্ষণাবেক্ষণ কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।

তৃতীয় সমঝোতা স্মারকটি ছিল বাংলাদেশ নেক্সিস কো. লিমিটেড এবং বাংলাদেশ এসইজেড লিমিটেডের মধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি লিজ সংক্রান্ত। এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ নেক্সিস কো. অর্থনৈতিক অঞ্চলে একটি কারখানায় গার্মেন্টস এক্সেসরিজ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে।

চতুর্থ সমঝোতা স্মারকে গ্লাগিট, মুসাসি সিমিতিসু ইন্ডাস্ট্রি গ্লাফিট এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) মধ্যে ব্যাটারিচালিত বাইসাইকেল ও বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল তৈরির একটি কারখানা স্থাপন বিষয়ক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

পঞ্চম সমঝোতা স্মারকটি কিপার কোর কো. লিমিটেডের সঙ্গে, যারা বাংলাদেশে ২ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে তথ্য নিরাপত্তায় তাকাতোশি নাকামোরা পুরস্কারপ্রাপ্ত পূর্ণাঙ্গ কিপার প্রযুক্তি’র ভিত্তিতে একটি জাতীয় পাইলট প্রকল্প শুরু করতে যাচ্ছে।

এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশকে একটি কোয়ান্টাম-প্রতিরোধী ডিজিটাল অর্থনীতিতে রূপান্তর করা। প্রযুক্তির প্রয়োগ ও বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণের একচেটিয়া অধিকার স্থানীয় প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হয়েছে।

ষষ্ঠ সমঝোতা স্মারকটি জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ও বিডার মধ্যে। এই চুক্তির মাধ্যমে জাইকা একীভূত সিঙ্গেল উইন্ডো প্ল্যাটফর্মের (আইএসডব্লিউপি) প্রাথমিক উন্নয়নে কারিগরি ও অন্যান্য সহযোগিতা প্রদান করবে।

এই প্ল্যাটফর্মটি বিডার নেতৃত্বে গঠিত, যার লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের বিভিন্ন বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থার সেবাকে এক-দরজায় একত্রিত করা।

পৃথিবীকে রক্ষায় তরুণদের ‘থ্রি জিরো ক্লাব’ গড়ার আহ্বান

গতকাল জাপানের সোকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সামাজিক উদ্ভাবন এবং বৈশ্বিক উন্নয়নে তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এ সম্মানসূচক ডিগ্রি দেওয়া হয়।

সেখানে পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে তরুণদের ‘থ্রি জিরো ক্লাব’ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, আমরা যে সভ্যতা তৈরি করছি, তা একটি আত্মবিধ্বংসী সভ্যতা, যা পৃথিবীকে ধ্বংস করবে। বর্তমান সভ্যতার কাঠামোর মধ্যে মানুষ টিকে থাকতে পারবে না, কারণ বিশ্বজুড়ে পরিবেশ ধ্বংস অব্যাহত আছে।

‘থ্রি জিরো থিওরি’ বা তিন শূন্য তত্ত্ব— শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব, শূন্য নিট কার্বন নিঃসরণ-এর কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এখন সবাই কেবল তাদের মুনাফা সর্বাধিক করতে চাচ্ছে। পাঁচজন ব্যক্তি একত্রিত হয়ে একটি থ্রি জিরো ক্লাব গঠন করতে পারে, যেখানে তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকবে যে তারা জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করবে না।

জাপান প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময়

জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সঙ্গে গতকাল মতবিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। টোকিওতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠানে শতাধিক বাংলাদেশি যোগ দেন। চার দিনের সফর শেষে আজ শনিবার সকালে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে টোকিও ত্যাগ করবেন প্রধান উপদেষ্টা।

সিঙ্গাপুর হয়ে রাতেই ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার। গত ২৭ মে জাপানে সরকারি সফরে টোকিও পৌঁছান তিনি।


সততার দীপ্তিতে রাষ্ট্রনায়ক: শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান

সততার দীপ্তিতে রাষ্ট্রনায়ক: শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান

 

ছবি: শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান

বাংলাদেশের ইতিহাসে সততা, দৃঢ়তা ও কর্তব্যপরায়ণতার প্রতীক হয়ে আছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। যিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই থেমে থাকেননি, বরং রাষ্ট্র পরিচালনায় নিষ্ঠা, সাহসিকতা ও দূরদর্শিতা দিয়ে গড়ে তুলেছিলেন একটি আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ। একজন মুক্তিযোদ্ধা, রাষ্ট্রনায়ক ও সংগঠক হিসেবে তাঁর জীবন ও আদর্শ আজও জাতির পথনির্দেশক।


সামরিক থেকে রাষ্ট্রপতি: সততার অহংকার

জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৫ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন এবং তাঁর সততা, কর্মনিষ্ঠা ও সাহসিকতার জন্য খুব দ্রুতই খ্যাতি অর্জন করেন। করাচিতে কর্মরত অবস্থায় ঘুষ, তদবির কিংবা স্বজনপ্রীতির কোনো রকম ছায়াও তার উপর পড়েনি। তাঁর ফাইলগুলোতে বারবার লেখা হয়েছে—“সৎ, কর্তব্যপরায়ণ, বুদ্ধিদীপ্ত”।

১৯৭১ সালে যখন বাংলাদেশ ধ্বংসের মুখে, তখন চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন জাতির অন্তরের কণ্ঠস্বর। তাঁর নেতৃত্বে অসংখ্য বাঙালি সেনা যুদ্ধে অংশ নেয়, এবং তিনি নিজে সম্মুখযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন।

ফের দেশের আকাশে ভারতীয় ড্রোন

ফের দেশের আকাশে ভারতীয় ড্রোন


প্রতীকী ছবি


স্টাফ রিপোর্টার | ঢাকা, ৩০ মে ২০২৫

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ফের নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ী ও বারবান্দা সীমান্তে প্রবেশ করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ পাঁচটি ড্রোন উড়িয়েছে, যা বাংলাদেশের আকাশসীমার এক কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে নজরদারি চালায়।

এই ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার (৩০ মে) রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত ৯টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। ভারতের কাকড়িপাড়া বিএসএফ ক্যাম্প থেকে এসব ড্রোন চালানো হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

Wednesday, May 28, 2025

আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা

আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা

 

ছবি: সংগৃহীত

জাপানের রাজধানী টোকিওতে জাপান-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী লিগের সভাপতি ও জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তারো আসোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এই অঙ্গীকার পুনরায় ব্যক্ত করেন।

নির্বাচনের সময়সূচি ও সংস্কার পরিকল্পনা

ড. ইউনূস জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তিনটি প্রধান ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে: রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংস্কার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন। তিনি বলেন, “যদি রাজনৈতিক দলগুলো সীমিত সংস্কার চায়, তাহলে নির্বাচন ডিসেম্বর ২০২৫-এ অনুষ্ঠিত হবে। আর যদি বৃহত্তর সংস্কার চায়, তাহলে নির্বাচন ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে হবে।” 

বিচারিক হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি এটিএম আজহারের

বিচারিক হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি এটিএম আজহারের

ছবি: সংগৃহীত


ঢাকা, ২৮ মে ২০২৫: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পাওয়ার পর জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম বুধবার সকালে মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তির পর শাহবাগ চত্বরে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বিচারিক হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।

মুক্তি ও সংবর্ধনা:
সকাল ৯টা ৫ মিনিটে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিরত অবস্থায় কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান আজহারুল ইসলাম। এরপর একটি কালো রঙের গাড়িতে করে তাকে শাহবাগ চত্বরে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে একটি গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। 

Wednesday, May 21, 2025

পাকিস্তানে ভয়াবহ বোমা হামলায় স্কুলশিশু নিহত, অভিযোগ ভারতের দিকে

পাকিস্তানে ভয়াবহ বোমা হামলায় স্কুলশিশু নিহত, অভিযোগ ভারতের দিকে

 


পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে ভয়াবহ এক বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৬ জন, যাদের মধ্যে রয়েছে ৪ জন শিশু। খুজদার এলাকার একটি স্কুল বাসে এই বর্বরোচিত হামলায় আহত হয়েছে আরও ৩০ জনের বেশি শিক্ষার্থী। বিস্ফোরণের সময় বাসটিতে ৪০ জনেরও বেশি শিশু ছিল, যারা সকালের দিকে স্কুলে যাচ্ছিল।

বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বাসের চালক ও সহকারীও। গুরুতর আহতদের কুইটার কন্টিনজেন্ট মিলিটারি হসপিটাল—সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে।