ওয়াশিংটন ডিসি, ২০ মে ২০২৫:
ভারতীয় একাধিক ভ্রমণ সংস্থার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এসব সংস্থার মালিক, প্রধান নির্বাহী এবং জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, এই সংস্থাগুলো সচেতনভাবে অবৈধ অভিবাসনে সহায়তা করছে এবং মানবপাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। সোমবার প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভিসা নিষেধাজ্ঞার এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো মানবপাচার বন্ধ করা এবং অবৈধ অভিবাসনে সহায়তাকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনা।
আরও পড়ুনঃ আমি প্রতিদিন $35 ইনকাম করি CPA Marketing করে | সঠিক উপায় জানুন
🔍 তদন্ত ও নজরদারির বিবরণ
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ভারতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোতে কনসুলার অ্যাফেয়ার্স ও ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি সার্ভিস যৌথভাবে প্রতিদিন কাজ করছে — অবৈধ অভিবাসন, মানবপাচার এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের শনাক্ত করার জন্য।
তাদের ভাষায়, “এটি শুধু অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা রোধে নয়, বরং যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদেরও বিচারের আওতায় আনতেই আমাদের এই প্রচেষ্টা।”
🛂 কারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসছে?
এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় শুধু অভিযুক্ত ভারতীয় সংস্থাগুলোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও মালিকরাই নন, বরং যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যারা মার্কিন অভিবাসন আইন লঙ্ঘনে সহযোগিতা করেছে, তারাও পড়বেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতেও এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। এমনকি যারা ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রামের আওতায় ছিলেন, তারাও এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন।
📜 যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ও অভিবাসন নীতি
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, দেশটির অভিবাসন নীতি কেবল বৈধতার ভিত্তিতে নির্মিত। যে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চায়, তাকে অবশ্যই বৈধ পথে ও নির্ধারিত নিয়ম মেনেই প্রবেশ করতে হবে।
এই নীতির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য—আইনের শাসন নিশ্চিত করা, মানবপাচার রোধ করা এবং নিজেদের নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়া।
আরও পড়ুনঃ
🔙 অতীত প্রেক্ষাপট: অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো
এটি প্রথম নয় যে, যুক্তরাষ্ট্র এভাবে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছেন।
ইতোমধ্যে হাজার হাজার অবৈধ অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এই তালিকায় ভারতীয়রাও রয়েছেন।
সম্প্রতি এক ঘটনায়, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী কয়েকজন ভারতীয়কে হাতে ও কোমরে রশি বেঁধে বিমানে তুলে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়। বিষয়টি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় সমালোচনার জন্ম দিলেও ওয়াশিংটনের অবস্থান অটল ছিল।
0 $type={blogger}: