পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে ভয়াবহ এক বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৬ জন, যাদের মধ্যে রয়েছে ৪ জন শিশু। খুজদার এলাকার একটি স্কুল বাসে এই বর্বরোচিত হামলায় আহত হয়েছে আরও ৩০ জনের বেশি শিক্ষার্থী। বিস্ফোরণের সময় বাসটিতে ৪০ জনেরও বেশি শিশু ছিল, যারা সকালের দিকে স্কুলে যাচ্ছিল।
বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বাসের চালক ও সহকারীও। গুরুতর আহতদের কুইটার কন্টিনজেন্ট মিলিটারি হসপিটাল—সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে।
পাহাড় সমান ঋণ থেকে মুক্তির দোয়া ও আমল
এই হামলার জন্য সরাসরি ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “এই কাপুরুষোচিত হামলা ভারতের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের অংশ। তাদের প্রোক্সি গোষ্ঠীর মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে।”
আইএসপিআর আরও জানায়, “ভারত যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজিত হয়ে এখন নরম লক্ষ্যবস্তু—স্কুলশিশু ও নিরীহ নাগরিকদের—লক্ষ্য করে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে।”
এদিকে হামলায় নিহত তিন শিশুর পরিচয়ও প্রকাশ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তারা হলো—ষষ্ঠ শ্রেণির সানিয়া সুমরো, সপ্তম শ্রেণির হিফজা কাওসার এবং দশম শ্রেণির ঈশা সেলিম। গোটা দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এ ঘটনায়।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী, সহায়তাকারী এবং হামলাকারীদের দ্রুত খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের ‘সন্ত্রাসী চেহারা’ উন্মোচনেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনী আরও বলেছে, “পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী এবং জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে ভারতের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করবে।”
এই হামলা এমন সময় ঘটল যখন দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের পরে একটি শান্তিচুক্তি কার্যকর হয়েছে মাত্র দুই সপ্তাহ আগে। ফলে কূটনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
0 $type={blogger}: