টাইমস অব ইন্ডিয়া-র বরাতে জানা গেছে, অন্তত ১৫টি চালান ফেরত পাঠানো হয়েছে। এই চালানগুলো লস অ্যাঞ্জেলেস, সান ফ্রান্সিসকো ও আটলান্টা সহ যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক শহরে পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ
আমি প্রতিদিন $35 ইনকাম করি CPA Marketing করে | সঠিক উপায় জানুন
❌ মান নিয়ে নয়, সমস্যা ছিল নথিপত্রে
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আমের গুণগত মান নিয়ে কোনো আপত্তি ছিল না। ফলগুলোতে কীটপতঙ্গ বা ক্ষতিকর উপাদানও পাওয়া যায়নি। সমস্যা দেখা দিয়েছে রেডিয়েশন ট্রিটমেন্ট ও পেস্ট কন্ট্রোল সংক্রান্ত নথিপত্রে। মার্কিন আমদানি নীতিমালা অনুযায়ী যেসব নির্দিষ্ট কাগজপত্র লাগত, সেগুলো ছিল ভুলে ভরা অথবা অসম্পূর্ণ।
রপ্তানি হওয়ার আগে, ৮ ও ৯ মে মুম্বাইয়ে এসব আম ‘ইরিডিয়েশন প্রসেস’ বা বিকিরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। এই প্রক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রিত রেডিয়েশন প্রয়োগ করে ফলের পচন রোধ করা হয় এবং কীটপতঙ্গ ধ্বংস করা হয়। তবে সেই প্রক্রিয়ার প্রমাণস্বরূপ যথাযথ দলিল জমা দিতে ব্যর্থ হন রপ্তানিকারকেরা, ফলে পুরো চালান আটকে যায়।
💸 বিপাকে রপ্তানিকারকরা: ক্ষতি অর্ধ মিলিয়ন ডলারের বেশি
🇮🇳 যুক্তরাষ্ট্র: ভারতের অন্যতম প্রধান আম বাজার
ভারত প্রতি বছর হাজার হাজার টন আম যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে থাকে। বিশেষ করে আলফানসো, কেসার এবং বদ্রপুরি জাতের আম মার্কিন বাজারে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এ ধরনের ঘটনা শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতিই নয়, দুই দেশের কৃষিপণ্যের বাণিজ্যে আস্থার সংকটও তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বাণিজ্য বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুনঃ
ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
⚠️ সতর্কবার্তা: প্রশাসনিক ভুল নয় যেন ভবিষ্যতের বাধা
বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সফল হতে হলে কেবল পণ্যের মান নয়, যথাযথ কাগজপত্রও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এ ঘটনা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের জন্য একটি বড় সতর্কবার্তা। সামান্য প্রশাসনিক ভুলের কারণে একটি লাভজনক বাজার হারিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সুনামও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না দিলেও, রপ্তানিকারক সংগঠনগুলো ইতোমধ্যে মার্কিন শুল্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। ভবিষ্যতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ডিজিটাল সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনাও নেওয়া হচ্ছে।
🏛️ কূটনৈতিক উদ্যোগ
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছে। তারা জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে কৃষিপণ্য বাণিজ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে এবং এই সম্পর্ক রক্ষা করতে উভয় পক্ষের মধ্যে স্বচ্ছ ও সময়োপযোগী সমাধান প্রয়োজন।
0 $type={blogger}: