ঢাকা, ১৩ জুন ২০২৫ | স্টাফ রিপোর্টার
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের সরকারি সফর শেষে লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে ১৩ জুন সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে দেশে ফিরছেন। তাঁর সাথে রয়েছেন উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সহ অন্যান্য সফরসঙ্গীরা, যারা একই সময়ে ফ্লাইটে উঠে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ।
📌 সফরের সূচনা ও উদ্দেশ্য
-
৯ জুন (সোমবার) সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে ঊড়ান করে যুক্তরাজ্যে পৌঁছান প্রবাসী প্রধান উপদেষ্টা ।
-
১০ জুন (মঙ্গলবার) স্থানীয় সময় সকাল ৭:০৫ মিনিটে তিনি হিথরো বিমানবন্দরে অবতরণ করেন ।
-
সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল:
-
বাংলাদেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কিত বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মজবুত করা ।
-
পাচার হওয়া অর্থ ও বিদেশে লুণ্ঠিত সম্পদের পুনরুদ্ধারে সহযোগিতা আদায় ।
-
কমনওয়েলথ, বাণিজ্য, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, সমুদ্রবিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ও আলোচনায় অংশগ্রহণ করা।
-
🤝 প্রধান বৈঠক ও ইভেন্টগুলো
-
কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আয়রকর বচওয়ের সঙ্গে বৈঠক—জাতীয় নির্বাচন ও রাজনৈতিক সংস্কারে যুক্তরাজ্যের আগ্রহ প্রকাশ ।
- এয়ারবাস বিদ্যুৎপ্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াউটার ভ্যান ওয়ার্শের সাথে আলোচনা—বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের লাভজনকতা ও অংশীদারিত্ব নিয়ে বিষয়টোন হয়।
- পার্লামেন্টারি গ্রুপের সাথে সংলাপ—উষ্মেয়ন ও কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে সাংসদদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়।
- ব্রিটিশ বাণিজ্য ও ব্যবসায়মন্ত্রী জনাথন রেনল্ডসের সঙ্গে বৈঠক—বৃটিশ ব্যবসায়ব্যবস্থায় বাংলাদেশের সম্ভাবনা আলোচনা।
- জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জনাথন পাওয়েলের সঙ্গে একান্ত বৈঠক—বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে।
- চ্যাথাম হাউসে ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলাপচারিতা’—সামাজিক ব্যবসা ও উন্নয়ন বিষয়ে বক্তৃতা
।- কিং চার্লস তৃতীয় হারমনি অ্যাওয়ার্ড—১২ জুন সেন্ট জেমস প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তাঁর হাতে দান করেছেন, যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে গণ্য
।-
রাজা ও কোয়েন কামিলার সঙ্গে একান্ত বৈঠক ও আলাপচারিতায় বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রম তুলে আনা হয় ।
-
হাউস অব কমন্স স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোয়েলের সঙ্গে বৈঠক—বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ে আলোচনা।
-
জরিপ ও সমুদ্রবিজ্ঞান জাহাজ HMS Enterprise সম্পর্কে ব্রিফিং—বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সম্ভাব্য সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্রিটিশ সহযোগিতা দেখা।
-
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইন্টারেক্টিভ অধিবেশন—বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের সাথে সরাসরি মতবিনিময়।
-
লন্ডনে তারেক রহমান–মুহাম্মদ ইউনূস অফিস-ওয়ান বৈঠক—সংসদ ও গণহত্যা বিচার বিষয়ে অগ্রগতির প্রেক্ষিতে রমজান আগেই নির্বাচন সংক্রান্ত যৌথ সিদ্ধান্তে পৌঁছন।
🌍 সফরের গুরুত্ব ও সম্ভাব্য প্রভাব
-
আর্থিক স্বচ্ছতা ও পুনরুদ্ধার: পাচার অর্থে আইনগত সহযোগিতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।
-
আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা: ব্রিটিশ রাজা কর্তৃক সম্মাননা বাংলাদেশের অবস্থানকে বিশ্বদলে দৃঢ় করে।
-
রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা: তারেক রহমানের সাথে অর্থনৈতিক ও নির্বাচন সংক্রান্ত প্রাথমিক সমঝোতা তৈরি হতে পারে।
-
দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধি: ব্যবসা, প্রতিরক্ষা, ও নিরাপত্তা খাতে বাংলাদেশের জন্য ব্রিটিশ প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো সম্ভব।
0 $type={blogger}: