ঢাকা, ১৩ জুন ২০২৫ | স্টাফ রিপার্টার
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) লন্ডনের ডোরচেস্টার হোটেলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান–এর বৈঠকটিকে সত্যিকার অর্থেই "টার্নিং পয়েন্ট" হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠক শেষে তারা একটি যৌথ ঘোষণা দেন, যেখানে আগামী জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি অনুষ্ঠিত হবে, জানিয়ে বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক আশা জেগেছে ।
🕒 বৈঠকের সময় ও সূচনা
বিকাল ২টায় (বাংলাদেশ সময়) শুরু হওয়া ঐতিহাসিক বৈঠকটি প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা চলে। প্রচ্ছন্ন আলোচনা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ মনোভাব বিনিময় করে নেতৃত্ব দুই পক্ষ এক যৌথ সার্বভৌম Vision গড়ে তোলেন ।
🗣️ এ কী টার্নিং পয়েন্ট? অন্তরঙ্গ মত বিনিময়
মির্জা ফখরুল বলেন,
“আজকের বৈঠক সত্যিই একটি turning point. যারা বলছিলেন নেতারা এক হওয়ার পথে না, তারা আজ মানতে বাধ্য।”
তিনি আরো জানান, নির্বাচনী তারিখ নিয়ে ফাঁক-ফোকর দূর করতে ‘উভয়পক্ষের ঐক্যমত’ এসেছে—যেখানে উল্লেখযোগ্য সময় সূচি পরিবর্তন করে ফেব্রুয়ারি ২০২৬–কে মেনে নেয়া হয়েছে।
✅ নির্বাচনের সময়সূচি: ফেব্রুয়ারির আলো
বৈঠকে নির্ধারিত হয়েছে, ঐ আগে ঘোষিত ‘এপ্রিল নির্বাচন’–এর সময় উপযুক্ত নয়। তারেক রহমানের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, “পরবীছের প্রথম সপ্তাহে, রমজানের আগে এ নির্বাচন করা যাক।” ।
🤝 দুই নেতার আন্তরিক সৌহার্দ্য
ফখরুল বলেন,
“বৈঠকটি খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ফলপ্রসু। ইউনিয়নে জাতির প্রত্যাশা পূরণে দুই নেতা একত্রে কাজ করবেন।”
তাছাড়া তিনি জানান, তারেক রহমান বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে স্মারক বই ও লেখার কলম উপহার দেন; এটা ছিল এক মেধা-ভিত্তিক কূটনৈতিক শিষ্টাচার–এর নিদর্শন ।
📈 রাজনৈতিক অস্থিরতা ঘুচবে—ফখরুলের আশাবাদ
মির্জা ফখরুল আশা ভরে বলেন,
“এই লন্ডন বৈঠক uncertainty দূর করে দিয়েছে, সৃষ্টি হয়েছে নতুন political momentum।”
তিনি যোগ করেন, “এখন সময়, বাদ দিয়ে দিয়ে পুরনো ভুল ভুলে যাওয়া—রমজানের আগে সমগ্র জনগণকে নিয়ে এগিয়ে চলা।”
✨ যৌথ ঘোষণা: নির্বাচনে ঐক্যমতের সময়
বৈঠকের পর প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ রয়েছে—‘যদি সব প্রস্তুতি নির্দিষ্ট সময়ে সম্পন্ন হয়, তবে জাতীয় নির্বাচন রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহে (ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে) হতে পারে।’
🔍 এক ‘নতুন রাজনৈতিক দৃষ্টান্ত’
ফখরুল বলেন,
“তারেক রহমান আমাদের শ্রেষ্ঠ statesman হিসেবে প্রমাণ দিয়েছেন—যখন প্রয়োজন, সেকেলে কারচুপির পাশেও এগিয়ে এসে দেশের জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত।”
তিনি যোগ করেন, “অনেক কিছু ভুলে, এখন দেশকে rebuild করার সময় এসেছে। এটা মানুষের প্রত্যাশা।”
🏛️ বর্তমান প্রেক্ষাপট ও ফলপ্রসু প্রভাব
-
এ বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আশার ঢেউ, যাতে আগামী নির্বাচন সম্পর্কে সুস্পষ্টতা এসেছে।
-
এই সময়সীমা ঘোষণার পর, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার আশা জেগেছে।
🔮 পরবর্তী পদক্ষেপ
ফখরুল বলেন,
“এখন নির্বাচন প্রসঙ্গে পুরো জাতীয় প্রস্তুতি শুরু করা বাঞ্চনীয়—সেই সময় অনুযায়ী।”
আমিও ধারণা করি—আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচনী মাঠে সক্রিয়তা বসবে, প্রতিটি রাজনৈতিক দল দুর্নীতিহীন ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করবে।
0 $type={blogger}: