মালদ্বীপে রাজনৈতিক সংকটের শীর্ষে ভারতীয় ষড়যন্ত্র
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী দেশ ভারত দীর্ঘদিন ধরে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে তাদের কৌশলগত স্বার্থ রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। তবে সম্প্রতি মালদ্বীপে ভারতের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কের অবনতি ঘটে। মুইজ্জু তার দেশ থেকে ভারতীয় সেনাদের সরানোর ঘোষণা দেন এবং চীনের সঙ্গে কৌশলগত সহযোগিতার উদ্যোগ নেন।
ভারতের প্রতিক্রিয়া: অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র
প্রতিবেদন অনুসারে, মুইজ্জুকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) গোপনে মালদ্বীপের বিরোধী নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে। একটি গোপন নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই ষড়যন্ত্রে মালদ্বীপের সংসদ সদস্য, সামরিক ও পুলিশ কর্মকর্তাদের অর্থ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়।
ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ৮.৭ কোটি মালদ্বীপিয়ান রুফিয়া (প্রায় ৬০ লাখ মার্কিন ডলার) সংগ্রহের প্রচেষ্টা চালানো হয়। তবে দীর্ঘ আলোচনা সত্ত্বেও, মুইজ্জুকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য প্রয়োজনীয় ভোট নিশ্চিত করা যায়নি।
মালদ্বীপে ভারতীয় প্রভাবের ইতিহাস
মালদ্বীপের অন্যতম রাজনৈতিক দল এমডিপি’র ওপর ভারতের দীর্ঘদিনের প্রভাব রয়েছে। মালদ্বীপ ও ভারতের বেশ কিছু কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারত দলটির নেতৃত্ব এবং নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রেখেছে।
২০২৩ সালের নির্বাচনে মুইজ্জুর 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচারণার জবাবে ভারত থেকে বিশ্লেষক ও প্রচারণা কর্মী পাঠানো হয়।
ষড়যন্ত্রের সাক্ষ্য এবং বিতর্ক
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মালদ্বীপে তাদের রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক যোগাযোগ ব্যবহার করে মুইজ্জুকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনা করেছিলেন। ভারতের প্রভাবশালী দুই মধ্যস্থতাকারী এই পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন।
যদিও ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, মুইজ্জু সরকারের কর্মকর্তারাও নীরবতা পালন করেছেন।
0 $type={blogger}: