বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মকাণ্ডে বিএনপির সংশয়
বিএনপি সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মকাণ্ড নিয়ে সন্দিহান। তাদের দাবি, এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশ কাটিয়ে একটি অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করা। ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের মধ্য দিয়ে ছাত্ররা তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়েছে বলে মনে করছে বিএনপি।
বৈঠকে আলোচিত বিষয়
সোমবার রাতে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ছাত্র আন্দোলনের ঘোষণাপত্র নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে জানানো হয়, ছাত্রদের এই তৎপরতা একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে।
বিএনপির মতে:
- অর্থের যোগান: ছাত্রদের কর্মসূচির পিছনে কারা অর্থ যোগাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
- পৃষ্ঠপোষক: আন্দোলনের দৃশ্যমান কোনো পৃষ্ঠপোষকতা নেই।
- উদ্দেশ্য: আন্দোলনের মাধ্যমে বাহাত্তরের সংবিধান পরিবর্তনের চেষ্টা হতে পারে।
ছাত্রদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন
বিএনপির পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে যে ছাত্রদের কর্মসূচি রাজনৈতিক দলের বিপরীতে একটি বিকল্প ধারা তৈরি করতে পারে। তবে আন্দোলনের নেতাদের কারো কারো অতীত সংশ্লিষ্টতা ছাত্রলীগ বা ছাত্রশিবিরের সঙ্গে থাকায় তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে।
বিএনপির বক্তব্য:
ছাত্রদের ঘোষণাপত্র প্রকাশের উদ্যোগ নিলে তা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে। ঘোষণাপত্রের বিষয়টি নিয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।
রাজনৈতিক দল গঠনের প্রস্তাব
ছাত্ররা যদি রাজনৈতিক দল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়, তবে বিএনপির আপত্তি নেই। তবে তারা সতর্ক করেছে, এই দল যেন কোনো ষড়যন্ত্র বা কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যম না হয়।
বিএনপির সমাধান প্রস্তাব
বিএনপির মতে, দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য শিক্ষার্থীদের এ ধরনের কার্যক্রমে সরকারি নীতিনির্ধারকদের আরও সংবেদনশীল হওয়া উচিত।