Native News

চাকরির খবর

চাকরি

Tuesday, December 31, 2024

ছাত্রদের ‘মতিগতি’ নিয়ে সন্দিহান বিএনপি?

ছাত্রদের ‘মতিগতি’ নিয়ে সন্দিহান বিএনপি?

 


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মকাণ্ডে বিএনপির সংশয়

বিএনপি সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মকাণ্ড নিয়ে সন্দিহান। তাদের দাবি, এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশ কাটিয়ে একটি অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করা। ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের মধ্য দিয়ে ছাত্ররা তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়েছে বলে মনে করছে বিএনপি।

বৈঠকে আলোচিত বিষয়
সোমবার রাতে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ছাত্র আন্দোলনের ঘোষণাপত্র নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে জানানো হয়, ছাত্রদের এই তৎপরতা একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে।

বিএনপির মতে:

  1. অর্থের যোগান: ছাত্রদের কর্মসূচির পিছনে কারা অর্থ যোগাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
  2. পৃষ্ঠপোষক: আন্দোলনের দৃশ্যমান কোনো পৃষ্ঠপোষকতা নেই।
  3. উদ্দেশ্য: আন্দোলনের মাধ্যমে বাহাত্তরের সংবিধান পরিবর্তনের চেষ্টা হতে পারে।

ছাত্রদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন

বিএনপির পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে যে ছাত্রদের কর্মসূচি রাজনৈতিক দলের বিপরীতে একটি বিকল্প ধারা তৈরি করতে পারে। তবে আন্দোলনের নেতাদের কারো কারো অতীত সংশ্লিষ্টতা ছাত্রলীগ বা ছাত্রশিবিরের সঙ্গে থাকায় তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে।

বিএনপির বক্তব্য:
ছাত্রদের ঘোষণাপত্র প্রকাশের উদ্যোগ নিলে তা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে। ঘোষণাপত্রের বিষয়টি নিয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।

রাজনৈতিক দল গঠনের প্রস্তাব

ছাত্ররা যদি রাজনৈতিক দল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়, তবে বিএনপির আপত্তি নেই। তবে তারা সতর্ক করেছে, এই দল যেন কোনো ষড়যন্ত্র বা কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যম না হয়।

বিএনপির সমাধান প্রস্তাব

বিএনপির মতে, দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য শিক্ষার্থীদের এ ধরনের কার্যক্রমে সরকারি নীতিনির্ধারকদের আরও সংবেদনশীল হওয়া উচিত।

নতুন বছরের গর্জনটা কেমন হতে পারে বাংলাদেশের?

নতুন বছরের গর্জনটা কেমন হতে পারে বাংলাদেশের?

 


নতুন বছরের গর্জনটা কেমন হতে পারে বাংলাদেশের?

নতুন বছর মানেই নতুন আশার আলো। কিন্তু এই আলোকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে দরকার মনের সংস্কার। ২০২৩ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান আর ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ পেয়েছে একটি নতুন রূপ—"বাংলাদেশ টু পয়েন্ট ও।" আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতির ছাপ হিসেবে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ইকোনোমিস্ট বাংলাদেশকে ঘোষণা করেছে ‘কান্ট্রি অব দ্যা ইয়ার’।

নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ ও প্রত্যাশা

এত অর্জনের মধ্যেও দেশবাসীর মনে কিছু জিজ্ঞাসা থেকেই যায়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, শিক্ষার অপ্রতুল অবকাঠামো, এবং চিকিৎসা সেবার সীমাবদ্ধতা কীভাবে কাটিয়ে উঠবে বাংলাদেশ? নতুন বছরের সূর্য উদিত হলেও মানুষের মনের অন্ধকার কেটেছে কি?

শিক্ষার অধিকার:
একজন ছাত্র বলেন, “প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা—সব স্তরে সমান অধিকার নিশ্চিত হওয়া দরকার। প্রত্যাশা থাকবে, শিক্ষা ব্যবস্থায় সুব্যবস্থা গড়ে তোলা।”

নিম্ন-মধ্যবিত্তের জীবনযাত্রা:
নিম্ন-মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির চাওয়া খুব সাধারণ। তাদের প্রত্যাশা শুধু দু’বেলা পেট ভরে খেতে পারা আর পরিবারের নিরাপদ জীবন।

চিকিৎসার মানবিকতা:
আরেকজন ছাত্র মন্তব্য করেন, “অধিকার বঞ্চিত মানুষদের জন্য সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ডাক্তারদের রোগীদের প্রতি আরও মানবিক হতে হবে।”

মনের সংস্কারের প্রয়োজন

সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে, রাজনৈতিক নেতাদের আন্তরিকতা থাকলে দেশের নব্বই ভাগ সমস্যার সমাধান সম্ভব। তাই সবচেয়ে জরুরি মনের সংস্কার। অরাজকতার সংস্কৃতিকে পরিবর্তন করলে দেশের সম্ভাবনাগুলো আলোকিত হবে।

নতুন বছরের শপথ

মানুষের আত্মা যখন পরিশুদ্ধ হবে, তখনই কুয়াশার চাদর সরিয়ে ঝকঝকে রৌদ্রস্নাত দিন শুরু হবে। নতুন বছরের বার্তায় শপথ হোক—মনের সংস্কারই এগিয়ে নেবে বাংলাদেশকে।

এই নতুন বছরে দেশের সকল উন্নয়ন ও সম্ভাবনার খবর পেতে আমাদের সাইটে ভিজিট করুন।

জীবন গেলেও দেশের এক ইঞ্চি মাটি হাতছাড়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জীবন গেলেও দেশের এক ইঞ্চি মাটি হাতছাড়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

 


জীবন গেলেও দেশের এক ইঞ্চি মাটি হাতছাড়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সীমান্ত রক্ষায় প্রয়োজনে জীবন দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বিজিবি সৈনিকদের দেশ মাতৃকার প্রতি অবিচল থেকে সীমান্ত রক্ষায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে অবস্থিত বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার ও কলেজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নবীন সৈনিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,
“দেশের এক ইঞ্চি মাটিও হাতছাড়া হতে দেবে না। প্রয়োজনে জীবন দেবে। তোমাদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাই দেশের মানুষের শান্তির প্রতীক হবে।”

বিজিবির প্রশংসা ও দায়িত্বের দিকনির্দেশনা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বর্তমানে একটি সুসংগঠিত, চৌকস ও পেশাদার বাহিনী। সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে ৪,৪২৭ কিলোমিটার সীমান্ত সুরক্ষায় তারা সফলতার নজির স্থাপন করেছে। বিজিবি সীমান্ত চোরাচালান, মানব পাচার ও অন্যান্য অপরাধ দমনে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আসছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায়ও বিজিবি বিশ্বস্ততার সাথে দায়িত্ব পালন করছে। বিজিবির সুনামের জন্য বাহিনীর প্রতিটি স্তরের সদস্য প্রশংসার দাবিদার।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিতি

অনুষ্ঠানে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন অঞ্চলের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবির ভূমিকা ও আরও খবর জানতে আমাদের সাইটে ভিজিট করুন।

বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানালেন তারেক রহমান

বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানালেন তারেক রহমান

 


📢 বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজ শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশ-বিদেশের সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তারেক রহমান নতুন বছরে সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে একত্রিত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তারেক রহমানের এই বাণী প্রকাশিত হয়। 📄

নতুন বছরে নতুন বার্তা

✨ তারেক রহমান তার বাণীতে বলেন, “পুরোনো বছরের ব্যর্থতা, গ্লানি ও হতাশা ঝেড়ে ফেলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ আমাদেরকে সামগ্রিক রূপান্তরের একটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করার প্রেরণা যোগায়। আসুন, রাষ্ট্র ও সমাজে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হই। আমরা এমন একটি জাতি গঠন করতে চাই যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের কণ্ঠ স্বাধীন থাকবে।” 🌟

অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা

📚 তিনি আরও বলেন, “গত বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতা, ছাত্র-জনতার আত্মদান এবং অধিকার হারানোর যন্ত্রণা আমাদের বেদনার্ত করলেও নতুন উদ্যোমে শান্তি, সম্প্রীতি এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার সম্ভাবনায় উদ্বুদ্ধ করেছে।” 🔗

গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা

🗳️ তারেক রহমান বলেন, “আমাদের অঙ্গীকার হবে জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা এবং অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে কাজ করার মধ্য দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত করতে হবে।”

তিনি গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “গণবিরোধী শক্তি এতদিন জনগণের অধিকার বন্দি করে রেখেছিল। তাই এখন সময় এসেছে সব গণতান্ত্রিক শক্তির মিলিত প্রচেষ্টায় বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার।” 🌍

নতুন বছরে নতুন আশা

🌈 তারেক রহমান তার বাণীতে আরও বলেন, “নববর্ষ আমাদের জীবনে নতুন আশা, নতুন স্পন্দন এবং নতুন সম্ভাবনার বার্তা নিয়ে আসে। আসুন, অমিত সম্ভাবনার পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিই। চিরতরে দূর হোক অন্যায়, উৎপীড়ন এবং নির্যাতন।” 🎉