ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাপল ওয়াচ ব্যবহারকারীর হৃৎস্পন্দন, হৃদস্পন্দনের অনিয়মিত গতি (অ্যারিথমিয়া) এবং অন্যান্য কার্ডিয়াক ডেটা ট্র্যাক করতে পারে। এই তথ্য চিকিৎসকদের দূর থেকে রোগীর অবস্থা বোঝার ক্ষেত্রে সহায়তা করছে।
আরও পড়ুনঃ
খেলা লাইভ দেখিয়ে ইনকাম: প্রতিদিন ১০ ডলার+ উপার্জনের সহজ উপায়
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন মেডিসিনের কার্ডিওলজিস্ট ও মেডিসিন অধ্যাপক ড. রড পাসম্যান জানান, "অ্যাপল ওয়াচ কার্ডিয়াক সার্জারির পর রোগীর অবস্থা মনিটরিংয়ে বিশেষভাবে সহায়ক। এটি রিয়েল টাইমে ডেটা সংগ্রহ করে চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে।"
তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, "এটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল ডায়াগনস্টিক টুল নয়, বরং একটি সহায়ক যন্ত্র। চিকিৎসার ক্ষেত্রে সর্বদা মেডিকেল গ্রেড যাচাই প্রয়োজন।"
গত বছর বাজারে আসা অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ৯-এ উন্নত হার্ট রেট মনিটরিং সুবিধা যুক্ত হয়েছে। ডিভাইসটি উচ্চ বা নিম্ন হৃৎস্পন্দন শনাক্ত করতে পারে এবং সংশ্লিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে সতর্ক করতে পারে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যাপল ওয়াচের মতো ওয়্যারেবল ডিভাইসগুলো টেলিমেডিসিনের যুগে রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে। তবে এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।
0 $type={blogger}: