Native News

চাকরির খবর

চাকরি

Monday, May 12, 2025

ভারতের ২৬টি সামরিক স্থাপনায় আঘাত, ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা এস-৪০০ ধ্বংস

SHARE

 


ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংঘাতে বড় ধরনের মোড় এসেছে। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (ISPR) জানিয়েছে, ভারতের আগ্রাসনের পাল্টা জবাব দিতে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’ পরিচালনা করেছে। এই অভিযানে ভারতের ২৬টি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে।

আইএসপিআর-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন, এই অভিযান ছিল পাকিস্তানের জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ। তিনি জানান, ভারতীয় আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনী সাহসিকতার সঙ্গে জবাব দিয়েছে।

এস-৪০০ ধ্বংস, ড্রোন ভূপাতিত

জেনারেল শরিফ জানান, পাকিস্তান ভারতের দুটি এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, যার মধ্যে একটি ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরে অবস্থিত। এই রাশিয়ান-নির্মিত S-400 সিস্টেমের আনুমানিক মূল্য ছিল ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়াও পাকিস্তান ৮৪টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করা হয়।

ভারতীয় বিমানঘাঁটিতে হামলার জবাব

পূর্বে ভারতের বিমান বাহিনী পাকিস্তানের নূর খান, শোরকোট ও মুরীদ বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল। এর জবাবে পাকিস্তান জেএফ-১৭ থান্ডার জেট ব্যবহার করে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরসহ মূল ভূখণ্ডে হামলা চালায়। এসব হামলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আরও পড়ুনঃ

পাহাড় সমান ঋণ থেকে মুক্তির দোয়া ও আম


যুদ্ধবিরতির অনুরোধ ভারতের পক্ষ থেকে

প্রেস ব্রিফিংয়ে আইএসপিআর প্রধান দাবি করেন, পাকিস্তান কখনো যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধবিরতির জন্য অনুরোধ করেনি। বরং ভারতই যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় যুদ্ধবিরতির আবেদন জানিয়েছিল। এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া পোস্টে।

"কোনো ভারতীয় পাইলট পাকিস্তানের হেফাজতে নেই"

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজব সম্পর্কে আইএসপিআর মহাপরিচালক বলেন, "কোনো ভারতীয় পাইলট আমাদের হেফাজতে নেই"। এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।

আকাশ ও সমুদ্র সুরক্ষায় পাকিস্তানের প্রস্তুতি

পাকিস্তানের নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী দুটোই শক্ত জবাব দিয়েছে। ভাইস অ্যাডমিরাল রব নওয়াজ বলেন, সংখ্যায় ভারী শত্রু থাকলেও পাকিস্তান সাহসিকতার সঙ্গে সমুদ্র সীমান্ত রক্ষা করেছে। একইভাবে, এয়ার ভাইস মার্শাল আওরঙ্গজেব জানান, সুনির্দিষ্ট সময় ও স্থানে পাকিস্তান জবাব দিয়েছে এবং অভিযানে সফলতা পেয়েছে।

কাশ্মীর ইস্যু: শান্তির চাবিকাঠি

জেনারেল আহমেদ শরিফ কাশ্মীর প্রসঙ্গে বলেন, কাশ্মীর একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিরোধপূর্ণ অঞ্চল, যা দক্ষিণ এশিয়ার শান্তির মূল বাধা। তিনি অভিযোগ করেন, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়মিত ঘটছে। জাতিসংঘের প্রস্তাবনা ও কাশ্মীরবাসীর ইচ্ছার ভিত্তিতে সমাধান ছাড়া কোনো স্থায়ী শান্তি সম্ভব নয়।

জাতির ঐক্য ও সরকারের সমর্থন

আইএসপিআর মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, পাকিস্তানের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিতে সরকার সাহসী ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, "জাতির একতা ও প্রার্থনাই আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সাহসের উৎস।"

যুদ্ধ নয়, শান্তির আহ্বান

শেষে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "যুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা মানে আগুন নিয়ে খেলা। উভয় দেশই পারমাণবিক শক্তিধর। এমন বিপজ্জনক পথে হাঁটলে পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।" রাজনৈতিক স্বার্থে এমন সংঘর্ষ নয় বরং আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় কূটনৈতিক সমাধান কাম্য।


SEO Keywords (প্রধান): ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, পাকিস্তানের সামরিক প্রতিশোধ, কাশ্মীর সমস্যা, ভারতীয় সামরিক স্থাপনায় হামলা, এস-৪০০ ধ্বংস, পাকিস্তান বিমান হামলা, যুদ্ধবিরতি আলোচনা, ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি, পাকিস্তান নৌবাহিনী, পাকিস্তান বিমানবাহিনী, যুদ্ধ ও শান্তি, কাশ্মীর মানবাধিকার।

SHARE

Author: verified_user

0 $type={blogger}: